সালেহ্ বিপ্লব: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা ও ভরসা সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে কোনো সেনাবাহিনীর জন্য আস্থা ও আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আস্থা ও আত্মবিশ্বাস না থাকলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায় না। আজ আমি বলতে পারি আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও ভরসা আছে। সূত্র: বাসস

[৩] প্রধানমন্ত্রী শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সেনা নির্বাচন বোর্ড (প্রথম পর্যায়) ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। আইএসপিআর জানায়, এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পৌঁছলে তার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক এবং সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।

[৪] শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের বাহিনী। তারা সবসময় দেশের জনগণের পাশে থাকে এবং যেকোনো দুর্যোগে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত। অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সর্বত্র তারা কাজ করছে।

[৫] প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সেনাবাহিনী অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাই আমরা নিশ্চিত যে কাজগুলো গুণগত মান নিশ্চিত করে দ্রুততার সাথেই সম্পন্ন হবে।

[৬] জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন, আমাদের সেনাবাহিনী হবে জনগণের সেনাবাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের সেনাবাহিনী হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

[৭] তিনি বাংলাদেশ সেনা নির্বাচন বোর্ড-২০২৩-কে নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ও বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের বাছাই করতে বলেন।

[৮] প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আপনাদের পেশাদার যোগ্যতা বিবেচনা করে এটি করা উচিত। যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে তুলনামূলক মূল্যায়ন করা উচিত। 

[৯] তিনি বলেন, এছাড়াও অফিসারদের কমান্ড দেওয়ার দক্ষতা বা বিশেষ পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা- সেদিকে আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে।

[১০] পদোন্নতির জন্য যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করার জন্য নির্বাচন বোর্ড সততা ও সঠিক বিচারের সঙ্গে পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

[১১] বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী বলে কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না। 

[১২] শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি মানবিক গুণ রয়েছে। কারণ তারা তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্বের বাইরে গিয়ে মানবিক কাজও করে। তারা সামাজিক কাজে নিয়োজিত হয়। তাই তারা যেখানেই কাজ করে না কেন তারা স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে যথেষ্ট সম্মান ও প্রশংসা পায়।

[১৩] প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল এ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে তার সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।  সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া